বুধবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৫

Filled Under: ,

মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তাদের মানবাধিকার নিয়েই ‘সবাই সোচ্চার’: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সাজা কার্যকর করতে গিয়ে ‘বড় বড়’ জায়গা থেকে বাধা পাওয়ার কথা তুলে ধরে এ মন্তব্য করেছেন তিনি।
বুধবার গণভবনে কলামনিস্ট, লেখক, টকশোর আলোচক ও সঞ্চালকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আমরা রায় কার্যকর করতে শুরু করেছি। আপনারা দেখেছেন যে, এ বিচারের রায় কার্যকর করতে গিয়ে কত উঁচু জায়গার টেলিফোন, ফাঁসি যেন দেওয়া না হয় সেই অনুরোধ পর্যন্ত করা হয়েছে।
“মানবাধিকারের কথা বলব, কিন্তু মানবাধিকার যারা লংঘন করবে তাদের মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে নাকি? এখানে আমার একটা প্রশ্ন- যারা মারা গেল বা নির্যাতিত হল বা ক্ষতিগ্রস্ত হল তাদের কথা চিন্তা না করে যারা ক্ষতি করছে, যারা মানবাধিকার লংঘন করেছে, সেই মানবাধিকার লংঘনকারীদের মানবাধিকার নিয়ে সবাই যেন খুব বেশি সোচ্চার হয়ে পড়ে।
“এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে গিয়ে ওই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হল আমাদের। মানবাধিকার লংঘনকারীদের মানবাধিকার নিয়ে সবাই খুব ব্যস্ত।”
একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের হাতে নির্যাতিত, নিহতদের কথা না ভেবে তাদের যারা হত্যা, ধর্ষণ করেছে তাদের প্রতি ‘সহানুভূতি’ দেখানোর সমালোচনা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
“এই একটা অদ্ভুত বিষয় আমি সব সময় দেখি যে, অপরাধীদের জন্য সবার মায়াকান্না। আর এই অপরাধীদের জন্য যারা জীবনটা দিল তাদের জন্য অত দুঃখ নাই।”
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফাঁসি কার্যকর করা নিয়েও এ সময় কথা বলেন শেখ হাসিনা।
“আন্তর্জাতিকভাবে ফাঁসি নিয়ে এত কথা হচ্ছে। ফাঁসি কি হচ্ছে না? ফাঁসি কি হয় নাই? ঈদের দিনে সাদ্দামকে ফাঁসি দিল। যারা ফাঁসির বিরুদ্ধে এত কথা বলে, তারাই তো আবার সাদ্দামের ফাঁসি দেখে হাততালি দিয়ে খুশি হয়।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সাদ্দাম যে অপরাধ করেছে, ওই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বা তাদের দোসর আল-বদর, রাজাকার, আল-শামস তারাও কি একই অপরাধ করেনি বাংলাদেশে? তার থেকে জঘন্য অপরাধই তো তারা করেছে।
“তাহলে তাদের অপরাধটা অপরাধ না কেন? এদেশের মানুষের কি জীবনের মূল্য নেই? এদেশের মানুষের কোনো অধিকার নাই বিচার চাওয়ার?”
লিবিয়ার প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি ও লাদেনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এই লাদেন বা সাদ্দাম বা গাদ্দাফি কাদের সৃষ্টি বা কারা সৃষ্টি করেছে, কারা মেরেছে, কারা আবার তাদের মেরে আবার খুশি হচ্ছে। তারা অপরাধ করলে তাদের শাস্তি দেওয়া যাবে, আর আমার দেশে একই ধরনের অপরাধ যারা করেছে তাদের যদি শাস্তি দেওয়া হয় তাহলে সেটা কেন মানবাধিকার লংঘন হবে বা তার জন্য বিবেকে এত তাড়া করে কেন?
“কিন্তু যারা ক্ষতিগ্রস্ত, যাদের ওপর এত জুলুম, যারা সবকিছু ত্যাগ স্বীকার করেছে তাদের কথা কেউ চিন্তা করবে না?”
হরতাল-অবরোধে যখন একের পর এক গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করা হয় তখন সেদিকে দৃষ্টি না দিয়ে, বরং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কেউ মারা পড়লে তার সমালোচনা হয় বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “অপরাধীরা যখন মারা গেছে সেই অপরাধীদের জন্য কান্না। কি? ক্রসফায়ারে মানুষ মারা হচ্ছে। ক্রসফায়ার তো না। কেউ যখন অপরাধ করতে যায়, পুলিশের তো রাইট আছে সেই মানুষের জানমাল বাঁচানো। আর সেটা বাঁচানোর জন্য তাদের যেটা করার তা তাদের করতে হবে। আমরা বাধ্য হয়েছি পুলিশকে সেই নির্দেশ দিতে।


0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ডিম খান, ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমান

ডিম খান, ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমান
ডিম খেতে যারা ভালোবাসেন তাদের জন্য সুখবর, টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে এই খাবার।

তেলেভাজা খাবারকে কী করে স্বাস্থ্যকর করবেন জেনে নিন

তেলেভাজা খাবারকে কী করে স্বাস্থ্যকর করবেন জেনে নিন
ডুবো তেলে ভাজা খাবার এবং অতিরিক্ত তেলেভাজা খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু তেলেভাজা খাবারের স্বাদই থাকে আলাদা। বিশেষ করে বিকেলে চায়ের সাথে এবং আড্ডায় একটু ভাজা খাবার না হলে একেবারেই চলে না।