বুধবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৫

, , ,

স্পষ্ট বলেছি- অপরাধীকে দমন করার জন্য: প্রধানমন্ত্রী

অপরাধীরা যখন মারা গেছে সেই অপরাধীদের জন্য কান্না। কি? ক্রসফায়ারে মানুষ মারা হচ্ছে। ক্রসফায়ার তো না। কেউ যখন অপরাধ করতে যায়, পুলিশের তো রাইট আছে সেই মানুষের জানমাল বাঁচানো। আর সেটা বাঁচানোর জন্য তাদের যেটা করার তা তাদের করতে হবে। আমরা বাধ্য হয়েছি পুলিশকে সেই নির্দেশ দিতে।


“স্পষ্ট বলেছি- অস্ত্র পকেটে রেখে দেওয়ার জন্য নয়, অপরাধীকে দমন করার জন্য। অপরাধীকে দমন করতেই হবে। মানুষকে পুড়িয়ে মারছে, বাসের মধ্যে আগুন দিচ্ছে, রেলে আগুন দিচ্ছে, রেললাইন তুলে ফেলছে, মানুষ হত্যা করছে। আর সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবে যে, ও আগুন দিচ্ছে ওকে কিছু করা যাবে না! আর কিছু করলেই মানবাধিকার লংঘন হয়ে যাবে।
“আর যারা পুড়ছে সেই মানুষগুলির কী অপরাধ?”
মতিঝিল থেকে হেফাজতে ইসলামীর কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে ‘মিথ্যাচার’র কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
“রটনা করা হলো ২০০০ মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে। যখন বারবার ডিমান্ড করা হল, তালিকা চাওয়া হল তারা তো ২০০ মানুষের তালিকা দিতে পারেনি। ৬১ জনের যে তালিকা দেওয়া হলো সেখানেও অনেককে দেখা গেল যে, ‘আমি তো মরি নাই, আমি এখনো বেঁচে আছি’। এরাই হল মানবিধকার সংরক্ষণ করার দায়িত্বে আছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটা ধোঁকাবাজি খেলা হল।”
বুধবার গণভবনে কলামনিস্ট, লেখক, টকশোর আলোচক ও সঞ্চালকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “সমালোচনা আপনারা করবেন, তাতে কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু এমন কিছু করবেন না যাতে, ওই সন্ত্রাসী গ্রুপ বা যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাই চায়নি, তাদের হাত শক্তিশালী হয়। এটুকুই সহযোগিতা চাইব।”
মতবিনিময়ে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শাসসুজ্জামান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, লেখক সেলিনা হোসেন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুক হক ইনু, সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল, কলামনিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী, বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল, উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন, মামুন-অর-রশিদ উপস্থিত ছিলেন। 
,

মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তাদের মানবাধিকার নিয়েই ‘সবাই সোচ্চার’: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সাজা কার্যকর করতে গিয়ে ‘বড় বড়’ জায়গা থেকে বাধা পাওয়ার কথা তুলে ধরে এ মন্তব্য করেছেন তিনি।
বুধবার গণভবনে কলামনিস্ট, লেখক, টকশোর আলোচক ও সঞ্চালকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আমরা রায় কার্যকর করতে শুরু করেছি। আপনারা দেখেছেন যে, এ বিচারের রায় কার্যকর করতে গিয়ে কত উঁচু জায়গার টেলিফোন, ফাঁসি যেন দেওয়া না হয় সেই অনুরোধ পর্যন্ত করা হয়েছে।
“মানবাধিকারের কথা বলব, কিন্তু মানবাধিকার যারা লংঘন করবে তাদের মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে নাকি? এখানে আমার একটা প্রশ্ন- যারা মারা গেল বা নির্যাতিত হল বা ক্ষতিগ্রস্ত হল তাদের কথা চিন্তা না করে যারা ক্ষতি করছে, যারা মানবাধিকার লংঘন করেছে, সেই মানবাধিকার লংঘনকারীদের মানবাধিকার নিয়ে সবাই যেন খুব বেশি সোচ্চার হয়ে পড়ে।
“এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে গিয়ে ওই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হল আমাদের। মানবাধিকার লংঘনকারীদের মানবাধিকার নিয়ে সবাই খুব ব্যস্ত।”
একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের হাতে নির্যাতিত, নিহতদের কথা না ভেবে তাদের যারা হত্যা, ধর্ষণ করেছে তাদের প্রতি ‘সহানুভূতি’ দেখানোর সমালোচনা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
“এই একটা অদ্ভুত বিষয় আমি সব সময় দেখি যে, অপরাধীদের জন্য সবার মায়াকান্না। আর এই অপরাধীদের জন্য যারা জীবনটা দিল তাদের জন্য অত দুঃখ নাই।”
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফাঁসি কার্যকর করা নিয়েও এ সময় কথা বলেন শেখ হাসিনা।
“আন্তর্জাতিকভাবে ফাঁসি নিয়ে এত কথা হচ্ছে। ফাঁসি কি হচ্ছে না? ফাঁসি কি হয় নাই? ঈদের দিনে সাদ্দামকে ফাঁসি দিল। যারা ফাঁসির বিরুদ্ধে এত কথা বলে, তারাই তো আবার সাদ্দামের ফাঁসি দেখে হাততালি দিয়ে খুশি হয়।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সাদ্দাম যে অপরাধ করেছে, ওই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বা তাদের দোসর আল-বদর, রাজাকার, আল-শামস তারাও কি একই অপরাধ করেনি বাংলাদেশে? তার থেকে জঘন্য অপরাধই তো তারা করেছে।
“তাহলে তাদের অপরাধটা অপরাধ না কেন? এদেশের মানুষের কি জীবনের মূল্য নেই? এদেশের মানুষের কোনো অধিকার নাই বিচার চাওয়ার?”
লিবিয়ার প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি ও লাদেনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এই লাদেন বা সাদ্দাম বা গাদ্দাফি কাদের সৃষ্টি বা কারা সৃষ্টি করেছে, কারা মেরেছে, কারা আবার তাদের মেরে আবার খুশি হচ্ছে। তারা অপরাধ করলে তাদের শাস্তি দেওয়া যাবে, আর আমার দেশে একই ধরনের অপরাধ যারা করেছে তাদের যদি শাস্তি দেওয়া হয় তাহলে সেটা কেন মানবাধিকার লংঘন হবে বা তার জন্য বিবেকে এত তাড়া করে কেন?
“কিন্তু যারা ক্ষতিগ্রস্ত, যাদের ওপর এত জুলুম, যারা সবকিছু ত্যাগ স্বীকার করেছে তাদের কথা কেউ চিন্তা করবে না?”
হরতাল-অবরোধে যখন একের পর এক গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করা হয় তখন সেদিকে দৃষ্টি না দিয়ে, বরং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কেউ মারা পড়লে তার সমালোচনা হয় বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “অপরাধীরা যখন মারা গেছে সেই অপরাধীদের জন্য কান্না। কি? ক্রসফায়ারে মানুষ মারা হচ্ছে। ক্রসফায়ার তো না। কেউ যখন অপরাধ করতে যায়, পুলিশের তো রাইট আছে সেই মানুষের জানমাল বাঁচানো। আর সেটা বাঁচানোর জন্য তাদের যেটা করার তা তাদের করতে হবে। আমরা বাধ্য হয়েছি পুলিশকে সেই নির্দেশ দিতে।


, , , ,

রামপুরা ঝিলপাড়ে ঘর দেবে নিহত ১৩

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হতাহতের এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
ঢাকার জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন মিয়া জানিয়েছেন, নিহতদের দাফনের জন্য ২০ হাজার ও আহতদের চিকিৎসার জন্য ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারের জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।
এছাড়া উদ্ধার তৎপারতা ও সার্বিক পরিস্থিতি তদারকের জন্য ঘটনাস্থলের পাশে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পরিদর্শক আলমগীর জানান, হাজীপাড়া নতুন রাস্তার বউ বাজার ও চৌধুরীপাড়ায় মাটির মসজিদ এলাকার মাঝে ওই এলাকা ঝিলপাড় বেগের বাড়ি হিসাবে পরিচিত। ঝিলের কাদা পানির ওপর মাচা করে টিন দিয়ে বানানো ওই দোতলা বাড়িতে যেতে হতো বিশ গজ দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো দিয়ে।
“দোতলা ওই টিনশেডে মোট ২২টি ঘরে লোকজন থাকত। দুপুরের পরপর হঠাৎ খুঁটিসহ নিচতলার ঘরগুলো কাদাপানিতে দেবে যায়।”
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে বলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ওসি মো. এনায়েত হোসেন জানান।
ঘটনাস্থল থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক কাজী মোবারক হোসেন জানান, ফায়ার সার্ভিসের তিনজন ডুবুরিও উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছেন।
উদ্ধারকর্মীরা প্রথমে কাদাপানির ওপরে থাকা খুঁটি কেটে টিন সরানোর চেষ্টা করেন। পরে ক্রেইনের মাধ্যমে হুক লাগিয়ে টেনে উপরের কাঠামো সরানোর চেষ্টা করা হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আলোকচিত্রী আসিফ মাহমুদ অভি জানান।
রামপুরা থানার পরিদর্শক আলমগীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা মোট ১৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন।
এটুজেড নিউজ বিডি ডটকমকে নাসরিন জানান, দুর্ঘটনার সময় ওই বাড়িতে অন্তত ৪০ জন ছিলেন। তাদের অর্ধেকেরই এখনো খোঁজ মেলেনি।
গার্মেন্টকর্মী সৈয়দ ইব্রাহীম আলী তার শ্বশুর-শাশুড়ি, স্ত্রী ও তিন শ্যালকের সঙ্গে ওই বাড়ির দোতলায় থাকতেন। ওই বাড়ির বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
“ঘটনা ঘটছে দুপুরে, খেয়ে দেয়ে অনেকে কাজে যাওয়ার পর। না হলে আরও বহু লোক আজ মারা যেত।”
স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম জানান,  মনির মিয়া নামে একজন বছর দুই আগে ওই টিনের ঘর বানিয়ে ভাড়া দেন। তিনিই বাসিন্দাদের কাছ থেকে প্রতিটি ঘরের  জন্য চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করতেন।

ডিম খান, ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমান

ডিম খান, ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমান
ডিম খেতে যারা ভালোবাসেন তাদের জন্য সুখবর, টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে এই খাবার।

তেলেভাজা খাবারকে কী করে স্বাস্থ্যকর করবেন জেনে নিন

তেলেভাজা খাবারকে কী করে স্বাস্থ্যকর করবেন জেনে নিন
ডুবো তেলে ভাজা খাবার এবং অতিরিক্ত তেলেভাজা খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু তেলেভাজা খাবারের স্বাদই থাকে আলাদা। বিশেষ করে বিকেলে চায়ের সাথে এবং আড্ডায় একটু ভাজা খাবার না হলে একেবারেই চলে না।
বৈশাখী আয়োজন

ইলিশ ভর্তা আর দইয়ের পদ দিয়ে বৈশাখী আয়োজন

ইলিশ রান্নার অসাধারণ একটি রেসিপি: যে মাছে কাঁটা থাকবে না একটিও!

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

Test
a2znewsbd. Blogger দ্বারা পরিচালিত.

`

`