ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর রংপুর মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
সেইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের বুধবার বিকাল ৩টার মধ্যে ছাত্রাবাস ছাড়তে বলা হয়েছে বলে কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন জানান।
তিনি বলেন, “উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
মেডিকেল সংলগ্ন ধাপ পুলিশ ফাঁড়ির এসএই গোলাম কিবরিয়া জানান, বর্ষবরণের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে কলেজের ডা. মুক্তা ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে দশজন আহত হন। পরে পুলিশ ও কলেজ প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে শহীদুজ্জামান শহীদ, আসাদ ও আশিক ফেরদৌস নামের তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
কলেজ ক্যাম্পাসে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ।
গত বছর অক্টোবরে রংপুর মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হওয়ার আট দিনের মাথায় শৃঙ্খলাভঙ্গে অভিযোগে ওই কমিটি বাতিল করা হয়।
একই সঙ্গে ওই কমিটির সভাপতি সারেয়ার আলম ও সাধারণ সম্পাদক ফারহান রহমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ‘চাঁদাবাজির টাকার ভাগ’ নিয়ে বিরোধের জেরে মুক্তা ছাত্রাবাসের ছাত্রলীগের দুই পক্ষ রাতে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় ওই ছাত্রাবাসের চারটি কক্ষে ভাংচুরও চালানো হয়।
এর মধ্যে একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন মহফুজুল হক তালুকদার রাকিব ও শহীদুজ্জামান শহীদ নামের দুই ছাত্রলীগ কর্মী। অন্য পক্ষের নেতা নাজমুল হাসান।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন