শনিবার বিকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান কামারুজ্জামানের স্ত্রী-সন্তানসহ
স্বজনরা। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পর কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তারা।
বেরিয়ে এসে কামারুজ্জামানের ছেলে হাসান ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, “তিনি (কামারুজ্জামান) ধীর রয়েছেন, সুস্থ রয়েছেন।”
কারাগারের
বাইরে তোড়জোড় শনিবার রাতেই কামারুজ্জামানের দণ্ড কার্যকরের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সেক্ষেত্রে এটাই ছিল তার সঙ্গে তার স্বজনদের শেষ সাক্ষাৎ। তবে এই বিষয়ে
স্পষ্ট কিছু বলেননি হাসান ইকবাল।
সকালে এই জামায়াত নেতার স্বজনদের
বিকালে সাক্ষাতের সময় দিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ। বিকাল ৪টার দিকে দুটি
মাইক্রোবাসে করে স্বজনরা কারাফটকে পৌঁছায়। মোট ২৩ জন এলেও কারাগারে ঢুকতে
দেওয়া হয় ২০ জনকে।
মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনায় কামারুজ্জামানের
করা আবেদন আপিল বিভাগে খারিজ হওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় শুক্রবার তার দণ্ড
কার্যকরের প্রস্তুতি দেখা গেলেও পরে তা হয়নি।
মৃত্যুদণ্ডের রায়
পুনর্বিবেচনায় (রিভিউ) কামারুজ্জামানের আবেদন সোমবার সর্বোচ্চ আদালতে খারিজ
হওয়ার পর তার কাছে শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগই ছিল।
বৃহস্পতিবার
আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার পর কামারুজ্জামান সময় নিয়ে তার সিদ্ধান্ত
জানাবেন বলে জানিয়েছিলেন। এরপর শুক্রবার তার সিদ্ধান্ত জানতে দুজন
ম্যাজিস্ট্রেট যান কারাগারে।
শনিবার বিকালে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা না
চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কামারুজ্জামান।
শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৫
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন